আমাদের সম্পর্কে
الحمد لله رب العالمين والصاوة والسلام علي سيد المر سلين و علي اله واصحا بـــه اجمعين
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। দরূদ ও সালাম সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবা কিরামের উপর।
বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশের মুসলমানদের অন্তরে কুরআনের মুহাব্বত ও কুরআন শিক্ষার আগ্রহ অপরিসীম, এ কারণে এদেশে হাফেজদের সংখ্যাও সমধিক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের হিফজখানা গুলোর অবস্থা যেমন ছিল সকলের নিকট সুবিদিত, কুরআনী শিক্ষা প্রসারের প্রয়োজনে হিফজখানাগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য। দেশে হাজার হাজার হিফজ মাদরাসা থাকা সত্ত্বেও এগুলোর কোন সু-সংহত বোর্ড ছিল না, ছিল না কোন নির্দিষ্ট নীতিমালা। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে এর শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। এ হিফজখানাগুলোর একটি একক শিক্ষাবোর্ড থাকলে এবং বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো পরিচালিত হলে তা হতো খুবই মঙ্গলজনক। হাফেজদের উল্লেখযোগ্য কোন সংস্থাও ছিল না। এ সব বিষয় বিবেচনা করে পুরান ঢাকার কতিপয় উদ্যোমী হাফেজে কুরআন দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কিরামের সাথে পরামর্শ করে ‘হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ নামে দেশের সর্বস্তরের হাফেজদের একটি প্রতিষ্ঠান বিগত ০১/০৯/১৯৯৬ ঈং তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সংগঠনের উদ্যোগে কুরআনুল কারীমকে সহীহ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে হিফজখানার ছাত্রদের পড়ার মান উন্নত করার জন্য, জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা, হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের পড়ার মান আরো উন্নত ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে হিফজ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স, হিফজ শিক্ষাবোর্ড ২০১১ সন থেকে হিফজ ছাত্রদের ০৫, ১০, ২০ ও ৩০ পারা চার গ্রুপে বার্ষিক পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হয় (আলহামদুলিল্লাহ)। দেশের উলামায়ে কেরাম ও হুফফাজে কেরাম এ কাজটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমরা আশাকরি আপনারা সকলে মিলে এ দ্বীনি ও জাতীয় কাজটিকে আরো ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হিফজ শিক্ষাবোর্ডকে আরো সহযোগিতা করবেন (ইনশাআল্লাহ)।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সাবাইকে এ নেক কাজে অংশগ্রহণের তাওফীক দান করুন। আমীন।